তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যাই সরব তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে , আমফান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির অভিযোগ গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতে

19th June 2020 7:36 pm হুগলী
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যাই সরব তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে , আমফান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির অভিযোগ গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আমপান ঝড়ে ভেঙেছে ঘর,পঞ্চায়েতকে জানিয়েও মেলেনি ক্ষতিপূরন ,অথচ প্রধান তার এলাকায়,ঘনিষ্ঠ লোকদের ক্ষতিপূরনের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন এই অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, হুগলির চন্ডীতলা ১ ব্লকের গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে গ্রামবাসীরা।তাদের অভিযোগ আমপানে তাদের ঘড় বাড়ি ভেঙেছে কিন্তু ক্ষতিপূরন মেলেনি।অথচ ক্ষতিগ্রস্থ নয় এমন অনেকেই কুড়ি হাজার টাকা করে পেয়েছেন।ক্ষতি পূরণের তালিকা সামনে আসতেই আজ পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা। যদিও সে সময় প্রধান কাবেরী দাস পঞ্চায়েত অফিসে ছিলেন না।উপপ্রধান আর সচিব কে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখায় তারা।সেই বিক্ষোভে সামিল হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরাও।সদস্যদের অভিযোগ আমপান ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘুরে দেখে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।ছটা বুথে টাকা দেওয়া হলেও অনেকেই টাকা পাননি।পঞ্চায়েতে হাজির থাকলেও এ বিষয়ে উপ প্রধান সুব্রত নস্কর মুখ খুলতে চাননি উপপ্রধান।বিক্ষোভ সামলাতে চন্ডীতলা থানার পুলিশ হাজির হয়।
প্রসঙ্গত আমপান ক্ষতিপূরণের দুর্নীতির অভিযোগে চন্ডীতলা ২ ব্লকের গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ সিং কে আজি বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা করে তৃণমূল।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।